ডোরা বেত আচড়া বাংলাদেশের অন্যতম একটি পরিচিত প্রজাতির সাপ। কলুব্রিডি পরিবারভুক্ত এই সাপটির ইংরেজি নাম common bronzeback tree Snake এবং বৈজ্ঞানিক নাম Dendrelaphis pictus,।একে bronzeback বা Indonesian bronzeback নামেও ডাকা হয়।
ডোরা বেত আচড়া গ্রাম বাংলার একটি পরিচিত সাপ। এটিকে অঞ্চলভেদে বিভিন্ন নামে ডাকা হয়, যেমন : ফাতালত/ফাতাআলদ (সিলেট), বাঁশপাতালি,বাঁশুয়া সাপ,ফড়িঙে সাপ ইত্যাদি। এটি সাধারণত ১.৫ মিটার পর্যন্ত লম্বা হতে পারে।
ব্যান্ড বেত আচড়ার দেহ লম্বা ও সরু আকৃতির এবং হলুদ বা বাদামী রঙের। দেহের উভয়দিকে বাদামি বা কালো বর্ণের ছোপ ছোপ এবং দেহের পার্শ্বীয় মধ্যভাগে একটি কালো রেখা থাকে। দেহের ডর্সাল স্কেলের মাঝে উজ্জ্বল নীল বর্ণের সজ্জা থাকে। এদের দেহের তুলনায় মাথা বড় ও চ্যাপটা এবং মাথার উপরের অংশ হালকা লালচে বা হলুদ। স্ত্রী সাপ পুরুষ সাপের তুলনায় আকারে বড়। সাপটি একটি নির্বিষ সাপ।
![]() |
ছবি : ব্যান্ড বেত আচড়া |
ডোরা বেত আচড়াকে বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, নেপাল, শ্রীলংকা, মায়ানমার, মালয়েশিয়া, চীন,ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, থাইল্যান্ড প্রভৃতি দেশে পাওয়া যায়।
ব্যান্ড বেত আচড়া দিবাচর (Diurnal) এবং বৃক্ষচারী (Arboral)। এটি গাছে গাছে খুবই দ্রুত চলাফেরা করে এবং ভীতু স্বভাবের। সাধারণত গাছের ডালপালা, ঝোপঝাড়, বাঁশের ঝাড় প্রভৃতি জায়গায় এদেরকে দেখতে পাওয়া যায়। এদের খাদ্য তালিকায় রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির টিকটিকি, গিরগিটি,বিভিন্ন প্রজাতির উভচর,ছোট পাখি ইত্যাদি।
ডোরা বেত আচড়া ওভিপোরাস তাই স্ত্রী সাপ সেপ্টেম্বর থেকে ফ্রেব্রুয়ারী মাসে গাছের গর্ত, গাছের ফাটল বা ঘনপাতার স্তুপে ৩-৮ টি ডিম পাড়ে এবং ৪-৬ সপ্তাহ ডিমে তা দেওয়ার পর বাচ্চা ফুটে বের হয়। এসময় বাচ্চাদের দেহের দৈর্ঘ্য থাকে ৮-১২ সেন্টিমিটার।
শ্রেণীবিন্যাস (Taxonomy)
KINGDOM : Animalia
PHYLUM : Chordata
SUBPHYLUM : Vertebrata
CLASS : Reptilia
ORDER : Squamata
FAMILY : Colubridae
GENUS : Dendrelaphis
SPECIES : Dendrelaphis pictus

0 Comments