Snake Awareness

🦎 সরীসৃপদের কিছু সাধারণ বৈশিষ্ট্য (Some Common Characteristics of Reptiles)

এরা শীতল রক্তের প্রাণী (Ectothermic/ Cold-blooded), অর্থাৎ পরিবেশের তাপমাত্রার উপর তাদের দেহের তাপমাত্রা নির্ভরশীল। এরা সাধারণত সূর্যের আলোতে শরীরকে উষ্ণ করে এবং ছায়া বা পানিতে গিয়ে ঠাণ্ডা করে।

সরীসৃপদের শরীর মোটা, শুষ্ক এবং কেরাটিনযুক্ত আঁশে ঢাকা থাকে। ত্বকে কোনো গ্রন্থি (gland) থাকে না, ফলে ঘাম বা তেল নিঃসরণ হয় না। শুষ্ক ও আঁইশযুক্ত ত্বক (Dry & Scaly Skin) পানি শোষণের পরিবর্তে পানিকে দেহের ভিতরে সংরক্ষণ করতে পারে। এজন্য এরা উভচরের মতো নয়, পানি ছাড়াও শুষ্ক পরিবেশে টিকে থাকতে পারে।

সমস্ত সরীসৃপই ফুসফুস ব্যবহার করে শ্বাস নেয়, এমনকি জলচর প্রজাতিরাও।

অধিকাংশই ডিম পাড়ে (Oviparous), ডিমের খোলস শক্ত ও চামড়ার মতো হয়ে থাকে। যদিও কিছু প্রজাতি জীবন্ত বাচ্চা জন্ম দেয় (Viviparous or Ovoviviparous)।

সরীসৃপদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ নিষেক (Internal fertilization) ঘঠতে দেখা যায়।

অধিকাংশ সরীসৃপের চারটি পা (Tetrapod) থাকে (যেমন, কাছিম, গিরগিটি), তবে সাপের মতো প্রজাতির পা নেই বা বিবর্তনে হারিয়ে গেছে।

এরা মেরুদণ্ডযুক্ত প্রাণী (Vertebrata), অর্থাৎ এদের কশেরুকা (backbone) আছে।

এদের খাদ্যভাস বেশ বৈচিত্র্যময়। কেউ কেউ শিকারি (সাপ, কুমির), কেউ তৃণভোজী (কিছু কচ্ছপ), আবার কেউ সর্বভোজী (Carnivorous, Herbivorous & Omnivorous)।

শরীরের বিপাকীয় হার কম, তাই দীর্ঘসময় না খেয়ে থাকতে পারে (বিশেষ করে সাপ বা কচ্ছপ)।

সরীসৃপরা সাধারণত একা থাকতে পছন্দ করে; শুধু প্রজনন ঋতুতে একত্র হয়।

সর্প সচেতনতা ( Snake Awareness)

সব সরীসৃপদের সাথে সাপের তুলনা করা হলে দেখা যাবে আমাদের জন্য সবচেয়ে ভয়ের কারণ শুধুমাত্র সাপই, কারণ তারা আমাদের প্রাননাশকারী বিষ ধারণ করে, যদিও অন্যান্য সরীসৃপরাও বিষধর হতে পারে, কিন্তু সাপের মতো এতো ব্যাপক আকারে কোনো সরীসৃপই বিষধর হয়না।

সর্প সচেতনতা (Snake Awareness) আমাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, বিশেষকরে দক্ষিণ এশিয়ার মতো অঞ্চলে যেখানে মানুষের সাথে সাপের সংঘর্ষ প্রতিনিয়তই ঘঠে। শুধুমাত্র বাংলাদেশ ও ভারতেই প্রতি বছরে প্রায় ৫১০০০ থেকে ৫৮০০০ মানুষ মারা যায় সাপের কামড়ে। সর্প সচেতনতা বৃদ্ধি করলে অপ্রয়োজনীয় আতঙ্ক এড়িয়ে মানুষ ও সাপ—উভয়ের প্রাণ বাঁচানো যাবে।