Advertisement

ইন্দো-চীনা দাঁড়াশ সাপ (Indo-chinese Rat Snake)

ইন্দো-চীনা দাঁড়াশ সাপ হলো সর্প জগতের সবচেয়ে বড় গোত্র কলুব্রীডির অন্তর্ভুক্ত একটি নির্বিষ সাপ। এটির ইংরেজী নাম Indo-chinese Rat Snake এবং বৈজ্ঞানিক নাম Ptyas korros

ইন্দো-চীনা দাঁড়াশ সাপ চিকন ও লম্বাটে গড়নের হয়ে থাকে, আকারে প্রায় ১.৫-২ মিটার লম্বা হতে পারে। দেহ বাদামী কিংবা কমলা-বাদামী, লেজের অংশ জলপাই-বাদামী এবং কালো ডোরাযুক্ত স্কেল বা আইশ বিদ্যমান থাকে। চোখ গোলাকার, আকারে তুলনামূলক বড় এবং কালো রঙের, কালো মণিকে ঘিরে একটি সোনালী বলয় থাকে। পেটের রঙ হলদে। মাথার আইশগুলো স্পষ্ট ও বড় ধরনের।


ছবি : ইন্দো-চীনা দাঁড়াশ সাপ ( PC: Thai National Parks)

এদেরকে বন-জঙ্গল, কৃষিজমি, ঘাসভূমি কিংবা মানববসতির আশেপাশে দেখা যায়। চলাফেরা খুব দ্রুত গতিতে করে, ভয় পেলে খুব দ্রুত পালানোর চেষ্টা করে কিংবা কামড় দেয় (যদিও কামড়ে কোনো বিষ নেই)।

এরা দিবাচর প্রাণী, দিনের বেলায় মূলত ইঁদুর ও অন্যান্য ছোট স্তন্যপায়ী প্রাণী খায়, তাই এটি কৃষকদের বন্ধু হিসেবে বিবেচিত। পাশাপাশি পাখি, গিরগিটি, ব্যাঙ প্রভৃতিও শিকার করে। ডিম পাড়ার মাধ্যমে বংশবিস্তার করে (Oviparous), স্ত্রী সাপ জুন-জুলাই মাসে ৪-১২টি ডিম পাড়ে।

এরা ইঁদুর খেয়ে ফসল রক্ষা করে, তাই এটি কৃষি-পরিবেশের জন্য খুবই উপকারী একটি সাপ। তাছড়া, খাদ্যজালে মাঝারি স্তরের শিকারি হিসেবে বাস্ততন্ত্রে ভারসাম্য রক্ষা করে।

ইন্দো-চীনা দাঁড়াশ সাপ দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে এন্ডেমিক অর্থাৎ এদের জীবভৌগলিক সীমানা এইসব দেশেই সীমাবদ্ধ। বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, নেপাল, চীন, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া প্রভৃতি দেশে দেখা মেলে।

Post a Comment

0 Comments